FREE SHIPPING ON ORDERS OVER ₹ 1900
Previous
Previous Product Image

Subham Samagra || Abhik Dutta || শুভম সমগ্র || অভীক দত্ত

Original price was: ₹299.00.Current price is: ₹224.00.
Next

Rangin Sur || Saswata Dhar || রঙিন সুর || শাশ্বত ধর

Original price was: ₹250.00.Current price is: ₹188.00.
Next Product Image

Shohor Periye Jyotisko || Moumita Ghosh || শহর পেরিয়ে জ্যোতিষ্ক || মৌমিতা ঘোষ

Original price was: ₹199.00.Current price is: ₹149.00.

SKU: LIPIGHAR_SHOHOR_PERIYE_JYOTISKO Category: Brand:
Trust Badge Image

Description

২০২১ সালে কিশোর গোয়েনা জ্যোতিষ্ক যখন তার অ্যাডভোরের ঝুলি নিয়ে জনসমক্ষে এসেছিল, বহু চৌখস গোয়েন্দার ভিড়ে সে যে এভাবে সকলের ভালোবাসা পাবে, সেটা সে ভাবেনি।

সবচেয়ে বড় কথা হল জ্যোতিষ্ক প্রতিটি অপরাধের পিছনে ঘটে চলা মানবিক দিকটি বড় সুন্দরভাবে তুলে আনে। তাই সে ছোট থেকে বড় সকলের বড্ড প্রিয়। মায়ের শাসন ডিঙ্গিয়ে চুপিসাড়ে তার অভিযানে বেরিয়ে পড়া জ্যোতিষ্ক যেন আমাদের মধ্যবিত্ত বাঙালি বাড়ির ঘরের ছেলে।

সেই জ্যোতিষ্ক এবার কলেজে উঠেছে। একটু সাহস বেড়েছে তার। তাই সত্যানুসন্ধানে সে এবার বেরিয়ে পড়েছে শহরের গন্ডী ছাড়িয়ে দূরে, সঙ্গী সেই রাজর্ষি। এই বইয়ের চারটি অ্যাডভোরে আরেকটু পরিণত হয়েছে। জ্যোতিষ্ক।

দেখুন তো, আপনাদের কেমন লাগে জ্যোতিষ্কর সঙ্গে একটু দূর থেকে ঘুরে আসতে!

 

সন্ধেবেলা সাইকেল নিয়ে চরকিপাক দিয়ে বাড়ি ঢোকার মুখেই ও দেখল গেটের পাশে এক জোড়া মেয়েদের চটি রাখা, অচেনা। মায়ের চটি ও চেনে, এটা মায়ের নয়। তার মানে বাড়িতে অচেনা কেউ এসেছে। এই সময় কে আসতে পারে! সাইকেলটা স্ট্যান্ড করিয়ে ভেতরে ঢুকল জ্যোতিষ্ক। ওদের বাড়িতে সদর দরজা দিয়ে ঢুকেই একটা ছোট জুতো রাখার জায়গা, আর তারপরেই বসার ঘর। জুতো ছেড়ে রেখে বসার ঘরে ঢুকতেই ও দেখতে পেল ভদ্রমহিলাকে, সোফায় বসে আছেন, একটু যেন জড়োসড়োভাব চোখেমুখে। ওকে দেখেই উঠে দাঁড়ালেন।

জ্যোতিষ্ক দেখল ভদ্রমহিলার পরনে একটা ধূসর রঙের সাধারণ ছাপাশাড়ি, শাড়ির আঁচলটা গায়ে জড়িয়ে বসেছেন। মাথার চুল উস্কোখুস্কো, মনেই হচ্ছে নিয়মিত চিরুনি পড়ে না চুলে। মায়েদের মতই বয়স, মানে আন্দাজ পঁয়তাল্লিশ-ছেচল্লিশ বছর বয়স হবে ভদ্রমহিলার। তবে চেহারায় বিবাহিতের কোনো চিহ্ন নেই। গায়ে গয়নাও নেই তেমন, বোঝা যাচ্ছে না অবিবাহিত না বিধবা। বেশ কুন্ঠিতভাবেই ডানপায়ের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে সমানে মেঝেটা খুঁটে চলেছেন। কয়েক সেকেন্ডে ওনাকে দেখে নিল জ্যোতিষ্ক, তারপর বলল,

‘আপনি বসুন না!’

ভদ্রমহিলা বসলেন না, বরং জ্যোতিষ্ককে পালটা প্রশ্ন করলেন, ‘তুমি কি জ্যোতিষ্ক?’

‘আজ্ঞে হ্যাঁ, কিন্তু আপনাকে তো ঠিক…’

‘তুমি আমাকে চেনো না বাবা, তবে আমি তোমাকে চিনি। তোমার অনেক নাম শুনেছি জানো তো! আজ আমি খুব বিপদে পড়ে তোমার কাছে এসেছি। তুমিই একমাত্র পারো আমাকে বাঁচাতে। আমাকে ফিরিয়ে দিও না জ্যোতিষ্ক!’ – কথা বলতে বলতে ভদ্রমহিলার চোখে জল চলে আসে।

‘আপনি কি বলছেন, আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না আন্টি! আমি কিভাবে আপনাকে সাহায্য করব?’

‘বলছি, আমি সব বলছি তোমাকে। তার আগে একটু জল…’

‘হ্যাঁ হ্যাঁ নিশ্চয়ই, আপনি বসুন না। আমি জল নিয়ে আসছি’ – জল নেওয়ার জন্য ঘর থেকে বেরোতে যেতেই জ্যোতিষ্ক মুখোমুখি হয় মায়ের। চায়ের ট্রে হাতে ঘরে ঢুকছে মা। ওকে দেখে এমন কটাক্ষ করলেন, যে আগেকার দিন হলে ও হয়ত ভস্মই হয়ে যেত। ইশারায় মাকে বোঝানোর চেষ্টা করে ও, যে এই ভদ্রমহিলাকে ও চেনেই না!

এদিকে জাহ্নবী দেবী ওকে বিশেষ পাত্তা না দিয়েই ঘরে এসে টেবিলের ওপর চায়ের ট্রে-টা নামিয়ে রাখেন। তারপর ভদ্রমহিলার মুখোমুখি সোফাটায় বসে হাসিমুখে ওঁর দিকে এগিয়ে দেন জলের গ্লাসটা। এক চুমুকে সবটুকু জল শেষ করে একটা বড় শ্বাস ফেলেন উনি। তারপর ওনাকে একটু ধাতস্থ হওয়ার সময় দিয়ে জাহ্নবী দেবী বলেন, ‘আপনার নামটা…?’

‘আমি অজন্তা, অজন্তা বিশ্বাস। বিশ্বাস জুয়েলার্সের নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই? আমার স্বামী ওই বিশ্বাস জুয়েলার্সের মালিক ছিলেন’।

‘হ্যাঁ হ্যাঁ, বিলক্ষণ শুনেছি। উনিই তো কিছুদিন আগেই হার্ট-অ্যাটাকে…’

‘বছর দুয়েক আগে হঠাৎ একদিন সকালে, হার্ট-অ্যাটাক’ – জাহ্নবী দেবীর মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বলেন উনি, ‘আমি তো এসব ব্যবসাপত্তর কিছুই বুঝি না ভালো, উনিই সব সামলে রাখতেন, যাই হোক, উনি চলে যাওয়ার পর ছেলে আর আমি মিলে বুঝলাম সব আস্তে আস্তে। আসলে আমার ছেলে তো তখন নেহাতই ছোট, মাত্র আঠেরো বছর বয়স। তাই দোকানের পুরোনো কর্মচারী যারা ছিলেন, তাঁদের কথাতেই একরকম জড়িয়ে পড়ি আমি ব্যবসার সাথে। আস্তে আস্তে শিখলাম সব, ভালই চলছিল জানেন আমাদের মা-ছেলের। উনি চলে যাওয়ার পর ব্যবসা যা একটু পড়তির দিকে গেছিল, কিছুদিনের মধ্যেই সামলে উঠেছিলাম আমরা। যদিও আমাদের ব্যবসায় একজন পার্টনার আছেন, আমার স্বামীর খুড়তুতো ভাই। আর তার সাথে আমাদের খুব একটা সুসম্পর্ক নেই। তবে আমাদের দিকটা সামলে নিয়েছিলাম আমরা। বেশ চলছিল সংসার! হঠাৎ কার যে বিষ নজর পড়ল আমাদের ওপর! আমার অমন সুন্দর ছেলেটা কিনা বন্ধুদের সাথে বেড়াতে গিয়ে …’ – কথা শেষ করতে পারেন না উনি,আঁচলে মুখ ঢেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

Additional information

Weight 0.5 kg
Dimensions 18 × 12 × 2 cm
Author Name

Binding

Language

Publisher

Publishing Year

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “Shohor Periye Jyotisko || Moumita Ghosh || শহর পেরিয়ে জ্যোতিষ্ক || মৌমিতা ঘোষ”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like…

Shopping cart

1

Subtotal: 147.00

View cartCheckout