Description
‘কত জল খেলাম—- কলের জল, নদীর জল, ঝরণার জল, পুকুরের জল—- কিন্তু মামাবাড়ির কুয়োর যে জল, অমনটি আর কোথাও খেলাম না। ঠিক যেন চিনির পানা, ঠিক যেন কেওড়া-দেওয়া সরবৎ!’ সুকুমার রায় সেই কবেই লিখে গিয়েছেন—- বিচিত্র রকম জলের গল্প। এক কথায় পানীয় সংস্কৃতি। সেই পানীয়েরই ফিরিস্তি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের চব্বিশ জন লেখকের কলমে। শরবত থেকে কফি, সোমরস থেকে হাল আমলের বিদেশি সুধা, দেশ-বিদেশের বিচিত্র সব পানীয় নিয়ে সাজানো ‘নুনেতে ভাতেতে’-এর তৃতীয় খণ্ড। শুরু হয়েছে এদেশে ইংরেজদের পানীয় জল সংস্কৃতির চর্চা দিয়ে৷ মাঝে টালার ট্যাঙ্ক দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে কলকাতার তৃষ্ণা মিটিয়েছে। জল, শরবত, চা কোন পানীয় নিয়ে আলোচনা নেই এই সংকলনে! এমনকী কারণসুধারও ইতিহাস রয়েছে। বানরকুলের সুরাপ্রীতির কথা আছে, স্বয়ং মা দুর্গাও যে মধু নামক সুরা পান করে মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধে ভয়ংকর ক্রোধে গর্জন করেছিলেন, রয়েছে সে কাহিনিও। দেব-দেবীদের প্রসঙ্গ এলে পঞ্চামৃতের কথা ছাড়া সে আলোচনা তো অসম্পূর্ণ। তাই আলোচিত হয়েছে তার কথাও। বাঙালির পানীয় সংস্কৃতিকে দুই মলাটের মধ্যে ধারণ করার কাজটি খুবই দুরূহ। অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে সেই কাজটি করেছেন রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য সান্যাল ও অনার্য তাপস। নিঃসন্দেহে এ বইটি পানীয়প্রেমী বাঙালির কাছে হয়ে উঠবে পরম আদরণীয়।
Reviews
There are no reviews yet.