Description
বইটিতে স্থান পেয়েছে ৪টি কালীগুণীনের উপন্যাস।
১) কালীগুণীন বনাম একচক্ষুর শাপ
বহু বহু বৎসর আগে একটি প্রাচীন গ্রাম এক রাতের মধ্যে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল চোখের নিমিষে কোনো এক রহস্যময় হানাদারের হাতে। সেই গাঁয়ের রহস্য চিরকালের মতো হারিয়ে গিয়েছিল কালের অতলে। বর্তমানে এক প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যে নিজের দাঁত নখ নিয়ে উঠে এলো সেই মহা সর্বনাশা দানব! খননকার্যের কর্তা একটি তোরঙ্গের মধ্যে কিছু জিনিষ পেয়ে অবাক হয়ে বললেন, “কী সর্বনাশ! কোনো এক মহা রাক্ষস নাকি আকাশ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এই গ্রামের উপর শত শত বৎসর আগে। চুমুকের থান নামক জায়গাটায় দুটো শিবমন্দিরের উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে, তারা নাকি পরস্পরের মহাশত্রু অথচ তাদের রহস্যের মধ্যেই লুকিয়ে আছে ঐ দানবকে পরাস্ত করার কূট কৌশল
২) গুপ্তঘাতকের কবলে কালীগুণীন
আলো বা বিজলীবাতির আবিস্কার নিঃসন্দেহে আমাদের সভ্যতার একটা অন্যতম সৃষ্টি, কিন্তু…. যদি কেউ এমন সঙ্কেত আবিস্কার করে বসে যা থেকে আলো নয় বরং নরকের নিকষ অন্ধকার ছড়িয়ে পড়ে? যদি একের পর এক বাড়িঘর রাতারাতি মুছে যেতে আরম্ভ করে পৃথিবীর থেকে? যদি সেই যন্ত্র এমন কোনো রূপে লুকানো থাকে, যা চোখের সামনে খোলাখুলি থাকলেও তাকে চেনা যায় না? ধুরন্ধর কালীপদ কি পারবে সেই সঙ্কেতের পর সঙ্কেত ভেঙে রহস্য উদঘাটন করতে?
৩) কালীগুণীন ও রাক্ষসের চাবিকাঠি
মানুষ মানুষকে অভিশাপ দিয়ে বলে, তুমি নরকে পতিত হও, কিন্তু সত্যিই যদি কেউ নিজের অসাবধানতাবশতঃ একটা প্রাচীন পুঁথি নাড়াচাড়া করতে গিয়ে নরকের গোপন দ্বারের চাবিকাঠি আবিষ্কার করে বসে? যদি রাক্ষসরাজ রাবণের অমোঘ সঙ্কেত এই রহস্যের মূলমন্ত্র হয়? সেই হেঁয়ালি ভেদ করে উদ্ধার করা যাবে কি সেই রাক্ষসের চাবিকাঠি?
৪) কালীগুণীন বনাম রাক্ষুসে চোয়াল
মেয়েটি লন্ঠন ঝুলিয়ে জঙ্গলের ভিতর থেকে ফেরার পথে চাঁদের আলোয় এক ভয়ঙ্কর মূর্তিকে দেখে থরথর করে কেঁপে উঠলো! গাঁয়ের একজন মানুষ ষোড়শ মহাজনপদের অন্যতম পদ গান্ধারের রাজধানী তক্ষশিলার থেকে না বুঝেই কোন অতি আশ্চর্য রহস্য এনে উপস্থিত করলো গ্রামে, যা লুকিয়ে ছিল হাজার হাজার বছর ধরে? সাহেবের ঘরের কাগজ চাপা দেওয়া পাথরটাই বা আকার বদল করে কেন? কেন একটা বিশেষ শব্দ শুনলেই তাকে আক্রমণ করে দানবটা? সব ধাঁধার সমাধান করে নির্বিচারে এক ভয়ালদর্শন মহানাগের নৃশংস আক্রমণ কি প্রতিহত করতে পারবে কালীগুণীন?
Reviews
There are no reviews yet.