Description
ভদ্রলোকের নাম ইন্দ্রমোহন খাসনবিশ। বয়স আন্দাজ ৫৬-৫৭ চূড়ান্ত রকমের বইপোকা। আগে কাস্টমসে চাকরি করতেন, কিন্তু শুধুমাত্র নিরুপদ্রবে বই পড়বেন বলেই, তিনি অবসরের আগেই অবসর নিয়েছেন। ইন্দ্রমোহন থাকেন উত্তর কলকাতার ২/১৩৭, রাজেন্দ্র ঘোষাল লেনের নিজস্ব পৈত্রিক বাড়িতে। স্ত্রী-বিয়োগ ঘটেছে অনেকদিন আগেই। ইন্দ্রমোহন নিজের হাতে বাজার করতে পছন্দ করেন। নিয়মিত ব্যায়াম করেন। নিতান্তই মাছে-ভাতে বাঙালি। মিষ্টি খেতেও ভারি পছন্দ করেন। বর্তমানে এই বাড়িতে থাকে তার একমাত্র পুত্র সম্মোহ। ও বেসরকারি ব্যাঙ্ককর্মী। পিতা-পুত্রের সম্পর্ক একেবারে বন্ধুর মতোই। আর থাকে আরেকজন। প্রায়-বৃদ্ধ নিশীথ যড়ঙ্গী। এই মানুষটি হন্দ্রমোহনের বিয়ের সময়কাল থেকেই এই বাড়িতে আছেন। বলতে গেলে মূলত ইনিই সংসার সামলান।
মুশকিল হচ্ছে, ইন্দ্রমোহন মোটেই গোয়েন্দাগিরি করতে চান না। নিজেকে গোয়েন্দা বলতেও তার ভারি আপত্তি। পাকেচক্রে কী ভাবে যেন একের পর এক কেসে তিনি জড়িয়ে যান অথবা তাকে জড়িয়ে দেওয়া হয়। বাইরে বেড়াতে গিয়েও রক্ষে নেই। ছেলে মজা করে তাকে ডাকে ‘ইমোখা’। যে উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি অবসর নিয়েছিলেন, তাতেই বারে বারে বিঘ্ন ঘটায়, ভারি বিরক্ত তিনি। পুলিশ-দপ্তরের উপরে তার অগাধ ভরসা। তাই প্রতিটি কেস সমাধান করবার পরে তার সবটুকু কৃতিত্ব তিনি তুলে দেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ-অফিসারটির উপরে। ইন্দ্রমোহন মোবাইল এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেন না। নিজস্ব অস্ত্র বলতে ডিটেকশন আর অবজারভেশন। আর একটা ব্রহ্মাস্ত্র-অকল্পনীয় স্মৃতিশক্তি। আর এই সব অস্ত্র নিয়েই মাঠে নেমে পড়েন গোয়েন্দা ইন্দ্রমোহন।
জনান্তিকে জানাই, এখনও অবধি তিনি
কোনও রহস্য সমাধানেই ব্যর্থ হননি।
Reviews
There are no reviews yet.