Description
সেই মহাভারতের সময় থেকে গঙ্গা ও শান্তনু একে অন্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন। সমসাময়িক সময়ে শান্তনুর সঙ্গে গঙ্গার সম্পর্ক ও এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র দময়ন্তীর সম্পর্ক নিয়েই অবতীর্ণ হয়েছে এই উপন্যাস। সুলেখিকা মৌসুমী চক্রবর্তী এই উপন্যাসের প্রতিটি ছত্রে অসামান্য দক্ষতার সঙ্গে রচনা করেছেন মানবজীবনে নদীর গুরুত্ব।
সভ্যতার সূচনা থেকে মানুষের জীবনে মননে নদীর অবিরল উপস্থিতি, সমসাময়িক কাহিনির আধারে ‘দৃষান্তনু উপাখ্যান’ এই চিরায়ত অস্তিত্বের ব্যক্তিস্তরীয় পুনরাবিষ্কার।
প্রত্যেক যুগের নিজস্ব বিপন্নতা থাকে, নদী তথা পরিবেশ-সংকট আমাদের সময়ের বিপন্নতা। যে প্রজন্মদের এই সময় ধারণ করে আছে, যে প্রজন্মরা এই সময়-কে, দময়ন্তী তাদের প্রতিভূ। গঙ্গা তার আজন্মের চেনা, গঙ্গার প্রেমিক শান্তনু তার প্রার্থিত। কাহিনিতে শান্তনুর প্রথম আগমন গঙ্গাতীরের অনামা জনপদে, দ্বিতীয় আগমন বঙ্গোপসাগরের নির্জন সৈকতে। তবে সে অন্যতর শান্তনু, যে দময়ন্তীর সঙ্গে তার যৌথ অতীতের বিকল্প একটি অতীতের গল্প বলে, বলতে বলতে গল্পের ছলে গড়ে তোলে দময়ন্তীর বিকল্প সম্ভাবনা দৃষদ্বতীকে। দৃষদ্বতী অধুনালুপ্ত প্রাচীন নদী,অন্যতর শান্তনুর গড়ে দেওয়া ভ্রম এবং গভীরতর সত্যার্থে রাষ্ট্র ও সমাজ দ্বারা নির্ধারিত সংস্কার ও সীমাবোধ। দৃষদ্বতীকে ভেঙেচুরে দময়ন্তী নিজের অন্তরস্থিত নদীটিকে আবিষ্কার করে নিজেই উত্তীর্ণ হয় নদীসত্তায়।
Reviews
There are no reviews yet.